বাংলাদেশে একজন সমকামীর জীবন যেমন

সমকামিতা বাংলাদেশে এক নিষিদ্ধ জীবন ব্যবস্থার নাম। একজন সমকামী এদেশে গোপনে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাকিত্বের মাঝে জীবন পার করে দেয়। কারণ সং্খ্যাগুরু সমাজের হর্তাকর্তা মুসলিম সমাজ ও অন্য ধর্মের আড়ালের মানুষ গুলো মনে মনে করে সমকামী মানুষেরা সমাজের জন্যে ক্ষতিকর এবং তাদের সম্পর্কে নর্দমার কিটের তুলনা করে। এমন ধারণা পোষণের জন্যে এরা কোন সমকামী প্রকাশ্যে এলেই তার প্রতি হয়ে উঠে হিংস্র এবং একজন সমকামী মানুষের জীবন হয়ে যায় অস্বাভাবিক। সে নিজেকে সারাক্ষণ লুকিয়ে রাখে, গোপন রাখে তার যৌন চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপ্তি।

অথচ অন্য সাধারণ যৌন প্রবৃত্তির মতই সমকামিতা এক স্বাভাবিক মানষিক অবস্থা। যার অস্তিত্ব শুধু মানুষের মধ্যে নয় পাওয়া গিয়েছে অনেক প্রাণীর মধ্যেও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বানর, জিরাফ, ভেড়া, ডলফিন ইত্যাদি। যা প্রমাণ করে এটা মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা কোন বিকৃত রুচি নয় বরং প্রাকৃতিক ভাবে প্রাণীর মধ্যে গড়ে ওঠা এক যৌন আকাঙ্খা।

এদেশে সং্খ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম সমাজ ধর্মীয় প্রচারণা চালিয়ে একঘরে করে রেখেছে সমাকামি তথা LGBTQ+ সচেতন মানুষদেরকে। বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষকে সবসময় এক ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে লিপ্ত রাখে, যার ফলস্বরূপ মানুষ সমকামীদের চরিত্রহীন লম্পট কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে করে। ফলস্রুতিতে তারা সমাজ থেকে হয় নিগৃহীত। অথচ এই মানুষদের সহজেই বিজ্ঞানের রেফারেন্স দিয়ে বোঝানো যেত যে সমকামিতা এক সাধারণ যৌন প্রবৃত্তি। যা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিশ্বের নামীদামী সব চিকিৎসক আর মনোবিশারদরা। ১৯৭৩ সালে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন আর ১৯৮১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দিয়ে বাতিল করেছে সমকামীতাকে মানসিক রোগের তালিকা থেকে একই সাথে সমকামীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার মতো অসংখ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্র এখন ইন্টারনেট ঘাটলেই পাওয়া যায়। কিন্তু মুসলিম অধ্যুষিত এ অঞ্চলে ধর্মের দোহাই দিয়ে হুজুরেরা আর ভোটের বাক্সের হিসাব ধরে রাখতে ভ্রষ্ট রাজনৈতিক নেতারা সমকামীদের অধিকারের বিরুদ্ধে স্বেচ্চার থাকায় এ বিষয়ে কোন সচেতনতা সৃষ্টি করা যাচ্ছে না, অথচ এ বিষয়ে প্রয়োজন ছিলো পাঠ্যপুস্তকে বিস্তার আলোচনার। যার ফলে অন্য সাধারণ বিষয়ের মতই এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানার ফলে মানুষের কাছে সমকামিতা পেতো স্বাভাবিক গ্রহনযোগ্যতা। অথচ নীতি নির্ধারকরা সচেতনতা সৃষ্টির বদলে আইন করে এদেশে সমকামিতাকে করে রেখেছেন দণ্ডনীয় অপরাধ। ফলস্রুতিতে একজন সমকামীর জীবন এদেশে আইনে অপরাধী, ধর্মে পাপী আর সমাজে মানসিক ভারসাম্যহীন কিংবা চরিত্রহীন ব্যাক্তির তকমায় আটকে থাকে।

Share the Post:

38 Responses

  1. সবাইকে এই লেখা পড়া উচিত।

  2. সব ধর্মেই সমস্যা আছে, শুধু ইসলামকে দোষ দেওয়া ঠিক না।

  3. এই সব কথা বললে একদিন তোকে খুঁজে বের করে মারা হবে।

  4. এই লেখাটা আরও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত ছিল।

  5. এই লেখাটা পড়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি।

  6. আপনার বক্তব্য কিছুটা উস্কানিমূলক।

  7. বিষয়টা এতদিন পর কেউ বলেছে দেখে ভালো লাগলো।

  8. তোর মত মানুষদের জন্যই দেশে অশান্তি।

  9. ধর্ম নিয়ে কথা বলবি না, কুকুর!

  10. খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

  11. তুই একটা নাস্তিক কুকুর, তোর জন্যই দেশে সমস্যা।

  12. তোকে নিয়ে রাস্তায় পোস্টার লাগানো উচিত।

  13. আপনার চিন্তাধারা সত্যিই অসাধারণ।

  14. তোর মত লোকদের জন্য দেশ নষ্ট হচ্ছে।

  15. তথ্যভিত্তিক লেখা হলে আরও গ্রহণযোগ্য হতো।

  16. এই সব কথা বলে দালালি করছিস কার?

  17. এই লেখাটা আমাকে অনেক ভাবতে বাধ্য করলো।

  18. আপনার লেখায় কিছুটা রাগ মিশে গেছে মনে হচ্ছে।

  19. তোর মত লোকদের গুলি করা উচিত।

  20. এই ধরনের লেখা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

  21. খুব সাহসী লেখা, আপনার মতামতের সঙ্গে একমত।

  22. সব মুসলমান একরকম না, বুঝে লিখা উচিত।

  23. আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।

  24. আপনি হয়ত খারাপ অভিজ্ঞতা পেয়েছেন, কিন্তু এভাবে বলা উচিত না।

  25. সংখ্যালঘুদের নিয়ে এমন লেখা সত্যিই দরকার ছিল।

  26. আপনার অভিজ্ঞতা জানা আমাদের চোখ খুলে দিল।

  27. তুই মর, তোকে কেউ সহ্য করতে পারে না।

  28. একতরফা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার ঠিক নয়।

  29. এটা বলা সহজ নয়, আপনি খুব সাহস দেখিয়েছেন।

  30. একটু ব্যালেন্স করে বললে ভালো লাগতো।

  31. আপনার বক্তব্য অনেক একপেশে।

  32. বাংলাদেশে অনেক মুসলমান সহনশীল, তাদের কথা বলেন না কেন?

  33. আপনি অন্য ধর্মের প্রতি এমনটা লিখতেন?

  34. আমার নিজের অভিজ্ঞতার সাথেও এই লেখা মিলে গেছে।

  35. এই লেখার জন্য তোকে জেলে পাঠানো উচিত।

  36. নাস্তিক কোথাকার, মুখ বন্ধ কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *